২০১৩ সালের শাহবাগীরা আবার উদয় হয়েছে। তথাকথিত এই শাহবাগ আন্দোলন একদল নিরপরাধ মানুষের হত্যার আয়োজনে পরিচালিত হয়। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে শাহবাগীদের আবার দেখা মিলল মাগুরার নৃশংস শিশু ধর্ষণের ঘটনায়, যখন সরকার ধর্ষণ ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইতোমধ্যে হাসিনার গুম-খুন গুপ্ত কারাগার নির্মাণ, বেপরোয়া ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বিচারহীনতা ও পৈশাচিকতার হাজার হাজার বীভৎস ঘটনায় তারা নাকে তেল দিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। এগুলোর কোনোটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করার প্রয়োজন শাহবাগীরা মনে করেনি।
‘শাহবাগ’ গণ-ঘৃণায় পচে গেলেও এটি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গার নাম। এর একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় জাদুঘর ও অন্যদিকে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষায়িত দু’টি হাসপাতাল। কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ২০১৩ সালে যান চলাচল বন্ধ করে এখানে বসে পড়ে। এরা সংখ্যায় কম হলেও জাতি-বিধ্বংসী ক্রিয়াকলাপের জন্য বহু আগে থেকে পরিচিত। এই দুষ্টচক্র তার সহযোগী হিসেবে পেয়ে যায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে। এর সাথে যুক্ত হয় আগ্রাসি বিদেশী শক্তি ও দেশীয় মিডিয়া। যেকোনো আন্দোলনের লক্ষ্য থাকে অধিকার আদায় ও বঞ্চনা নিরসনের মাধ্যমে মহান কিছু অর্জন। কিন্তু শাহবাগীরা চেয়েছে বিচারবঞ্চিত মজলুম একদল লোকের ফাঁসি। আন্দোলনের নামে এমন প্রহসনের ঘটনা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গুরুতর রোগীদের আন্দোলনকারীরা মাসের পর মাস পথ রোধ করে সীমাহীন ভোগান্তিতে ফেলে। মাইকে অনবরত খুনের উসকানি দেয়া বীভৎস সেøাগান দুই হাসপাতালের রোগীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত করেছে। রাজধানীর এক পাশের যোগাযোগ অচল করে চরম দুর্ভোগ তৈরি করা এই উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে বিরিয়ানিসহ আকর্ষণীয় খাবার জোগান দেয়া হয়। এর নেতারা অবস্থান নিয়েছিলেন পাশের পাঁচ তারকা হোটেলে। অভিযোগ ওঠে শাহবাগ মোড়ে গভীর রাত অবধি চলত গাঁজা ও হরেক রকমের মাদকের আড্ডা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশায় পুরো এলাকা তৈরি করা হয়েছিল এক রঙ্গশালায়। মিডিয়া একে ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ নাম দিয়ে এক মহান জমায়েত বলে সীমাহীন প্রচারণা চালায়।
এতে করে এক বিপুল অপশক্তির উদ্ভব হয় শাহবাগে। প্রতিষ্ঠিত হয় ইমরান এইচ সরকারের এক বিকল্প সরকার। মঞ্চ থেকে তিনি যেই আদেশ দেবেন সেটি সবার জন্য অবশ্য পালনীয় হয়ে যায়। সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান তার আদেশের অনুগত হয়ে যায়। সারা দেশে এক বিপুল নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা ও গণঅশান্তির সৃষ্টি হয়। যাকে তাকে রাজাকার স্বাধীনতাবিরোধী ঘোষণা করা হলো। যার বিরুদ্ধে এমন ট্যাগ দেয়া হলো তার জীবন ও সম্পদের আর কোনো নিরাপত্তা থাকল না। ওই সময় সারা দেশে অগণিত মানুষ মবের শিকার হয়েছেন। এদিকে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বদলে শাহবাগের দাবি অনুযায়ী হয়ে গেল মৃত্যুদণ্ড। যেখানে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজধানীর মীরপুরের এক ব্যক্তি খুন-রাহাজানিসহ জঘন্য সব কৃতকর্মের জন্য কুখ্যাতি পেয়েছিল কসাই কাদের নামে। জামায়াতের নেতা কাদের মোল্লাকে বানিয়ে দেয়া হলো ‘কসাই কাদের’। ফরিদপুরের কাদের মোল্লার সাথে কসাই কাদেরের দূরতম কোনো সম্পর্ক ছিল না। এ দু’জন আলাদা ব্যক্তি, এর শতভাগ প্রমাণ উপস্থাপনের পরও শাহবাগের চাপে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দেয়া হয়। এর পর একে একে জামায়াতের প্রথম সারির বেশির ভাগ নেতাকে ফাঁসি, কয়েক জনকে যাবজ্জীবন দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। বিএনপির শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণ দূরে থাক, ন্যূনতম কোনো প্রমাণ তারা হাজির করতে পারেনি। ভয়ভীতি দেখিয়ে বন্দী করে জবরবস্তি করে যাকে তাকে ধরে এনে সাক্ষ্য আদায় করা হয়। অনেকে এমন ধরনের সাক্ষ্য দেয়ার হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সাক্ষীকে সরকারি লোকেরা গুম করার ঘটনাও ঘটে। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালিকে গুম করে ভারতে পাচার করে দেয়া হয়। স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হলে বিচারের নামে হত্যাকাণ্ডের মহড়ার বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে গেলেও শাহবাগের মবের ওপর ভর করে বিচারিক হত্যাকাণ্ড চালানো অব্যাহত রাখা হয়। তাদের নিশানা অনুযায়ী যাদের যাদের হত্যা করার টার্গেট ছিল তাদের হত্যা করার পর শাহবাগ লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যায়।
শাহবাগে কিছু লোভী অসৎ ব্যক্তিকে সুকৌশলে ‘আইকনিক ফিগার’ হিসেবে তৈরি করা হয়। এ জন্য মিডিয়া জঘন্য ভূমিকা নেয়। এদের হিরো বানানো হলেও মূলত তারা ছিল জল্লাদ। কারণ এরাই রাত-দিন ফাঁসি চাই বলে স্লোগান দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে খুন করার প্লট তৈরি করে দিয়েছিল। এ ধরনের এক কৃত্রিম ফিগার তৈরি করা হয় স্লোগানকন্যা খ্যাত লাকী আক্তারকে। এই লাকীকে এখন আবার দৃশ্যপটে আনা হয়েছে। তার আগমন মানে শাহবাগের নতুন করে দাঁত বের করা। দেশের মানুষ আবার তার প্রকাশ্য চলাফেরা দেখে উদ্বিগ্ন। নতুন কোনো ভয়াবহ মিশন বাস্তবায়িত হবে শঙ্কায় চারদিক থেকে আওয়াজ উঠেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
সামাজিক মাধ্যমে লাকীদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়, এরা আসলে স্বাধীন সার্বভৌম শান্তিপূর্ণ প্রগতিশীল বাংলাদেশ চায় না। জুলাই বিপ্লবের পুরো সময় লাকী চুপচাপ। তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ১৬ থেকে ২৮ জুলাই কোনো পোস্ট নেই। ৩১ জুলাইয়ের পর তার প্রথম পোস্ট পাওয়া যায় ১৮ আগস্ট। ফেসবুকেও ওই সময়ে তাকে নীরব থাকতে দেখা গেছে। অথচ এই সময়ে বাংলাদেশে ভয়াবহ এক সরকারকে হঠাতে রাজপথে অকাতরে ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়েছে। হঠাৎ করে তিনি এখন ধর্ষণ প্রতিরোধে দৃশ্যপটে হাজির হলেন। যখন সরকার শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে। অপরাধীদের দ্রুততার সাথে গ্রেফতার করা হচ্ছে, আগের তুলনায় অর্ধেক সময়ে বিচার সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। গত বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বাধিক শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হেলিকপ্টার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চালানো গুলিতে ছাদে ঘুরতে যাওয়া শিশু প্রাণ হারিয়েছে। ঘরের ভেতরে থাকা শিশু তাদের চালানো গুলিতে মারা গেছে। এ নিয়ে জাতিসঙ্ঘ আলাদা করে প্রতিবেদন দিয়েছে। লাকী আক্তার তখন একেবারে নীরব। নারকীয় ওই শিশু হত্যার বিচার চাওয়ার কোনো তাগিদ তিনি অনুভব করেননি। বুয়েটের ক্যাম্পাসে নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে আবরার হত্যা, বিডিআরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যাসহ এ ধরনের ভয়াবহ জাতিবিধ্বংসী ঘটনায় তাকে কোনো ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ জানাতে দেখা যায়নি।
শুধু লাকী আক্তার নয়, শাহবাগে জমানো সব বাম সংগঠন দেশদ্রোহমূলক বড় বড় কর্মকাণ্ডের কখনো প্রতিবাদ করে না। এদের প্রায় সবাই জুলাই গণহত্যার পুরো সময় চুপ থাকার পর এমন সময় আবার রাস্তায় নামছে যখন চরম এক নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। ফ্যাসিবাদীরা পুলিশকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। দেশপ্রেমিক সম্প্রদায়ের এখন উচিত জ্বালাও-পোড়াওয়ের বদলে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পুর্ণোদ্যমে সহযোগিতা করা। অথচ পুরো গোষ্ঠীটি নেমে গেল পরিস্থিতি ঘোলা করে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টাকে বেগবান করতে।
শাহবাগী গোষ্ঠীটি অত্যন্ত সুসংগঠিত। শিয়ালের হুক্কাহুয়ার মতোই সময় মতো সবাই একসাথে সাড়া দেয়ার সক্ষমতা রাখে। ১১ মার্চে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে এদের বাকি সদস্যদের চিহ্নিত করা যাবে। ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামে প্ল্যাটফর্মে এরা দৃশ্যপটে হাজির হয়েছে। ওই দিন তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা করে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। এর আগে তাদের বোঝানো হয় যে, আর সামনে এগোনো যাবে না। তারা পুলিশের কথায় সায় দেয়। দেখা গেল, এক পর্যায়ে তারা উসকানিমূলক তৎপরতা শুরু করে। মিছিলের পেছন থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল-লাঠিসোঁটা নিক্ষেপ করতে থাকে। সাদা পোশাকে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা মিছিলের পেছনে থেকে এক হামলাকারীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তখন তিনি ওই পুলিশের ওপর চড়াও হন। পুলিশ আত্মরক্ষায় তাকে প্রতিরোধ করতে গেলে কয়েকজন মিলে তাকে বেধড়ক পেটানো শুরু করে। ওই সময় এই পুলিশ সদস্য নারী পুরুষের মারমুখী একটি মবের মধ্যে পড়ে যান। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, তাকে চারদিকে বেধড়ক মারছে এমন একদলের হাত থেকে বাঁচতে আত্মরক্ষায় তিনি প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। ওই সময় তাদের মারের চোটে সাদা পোশাকধারী পুলিশ কর্মকর্তার পোশাক ছিড়ে যায়। পুলিশের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও আক্রমণের শিকার হন। এতে আরো কয়েকজন পুলিশ আহত হন। ভিডিও দেখে আক্রমণকারী মবকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।
শাহবাগীদের সাথে মিডিয়ার গাটছাড়া চেনা সহজ। সংবাদের কাভারেজ আপনাকে তাদের পরিষ্কার করে চিনিয়ে দেবে। পরদিন কাওরান বাজার থেকে প্রকাশিত দু’টি পত্রিকা প্রথম পাতার উপরে বিরাট করে ছপি ছেপেছে, তাদের বর্ণনায় সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মকর্তা এক নারীর চুলের মুঠি ধরে টানছেন। আশপাশে থাকা আন্দোলনের কর্মীরা ওই নারীকে এই পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলা পত্রিকাটি ছবির ক্যাপশনে লিখেছে ‘সাদা পোশাকে এক পুলিশ সদস্য শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন’। অপর দিকে, ইংরেজি পত্রিকাটি আরো সরেস, তারা প্রথম পাতার উপরে ছবিটি পাঁচ কলাম ছাপিয়ে দিয়েছে। তাতে ক্যাপশন দিয়েছে ‘প্লেইনক্লথস গ্রাবস অ্যা ফিমেইল প্রটেস্টার বাই হার হেয়ার’।
ওই মবের একাধিক ভিডিও চিত্র রয়েছে। সেগুলো নানা দিক থেকে ধারণ করা হয়েছে। ওই ভিডিওগুলোতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ওই পুলিশ সদস্য অনেকটা মৌচাকের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি বাঁচার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করছিলেন। মূলত তিনি সেখানে ভিক্টিম ছিলেন। পত্রিকা দু’টি মাঝখানে একটি স্থিরচিত্র দিয়ে পুরো ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অসৎ চেষ্টা করেছে। তারা বানিয়ে দিলো আক্রমণকারীদের ভিক্টিম। এখন ২০১৩ সাল নয়। ক্ষমতায় এখন ফ্যাসিবাদী চক্র নেই যে, মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করে ফেলা যাবে। এই ছবি অন্যান্য আরো কয়েকটি পত্রিকা ছাপলেও ভিডিও চিত্র থাকায় তারা শাহবাগের পক্ষে ষড়যন্ত্রে সফল হতে পারেনি।
মিডিয়ার এই অংশটি শাহবাগী অ্যাজেন্ডা এগিয়ে নিতে এখনো সক্রিয়। ওই ছবিটি প্রকাশের জন্য পত্রিকাগুলো ভুল শিকার করেনি, তাদের কোনো অনুশোচনা নেই, ক্ষমা চাওয়ার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। এখনো তারা বীরদর্পে শাহবাগের ক্ষুদ্র অংশটির বিস্তারিত খবর প্রচার করছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম জোটের ব্যানারে তার পরের দিন ডজনখানেক লোক সমাবেশ করেছে। সেখান থেকে শাহবাগবিরোধীদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেয়া হয়েছে। তাদের সমাবেশের খবর ‘নারীর প্রতি সহিংসতায় মদদ দিচ্ছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী : বাম জোট’ এই শিরোনামে বিস্তারিত ছেপে দিয়েছে। এর সাথে পুলিশের ওপর হামলায় যে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছে। সিপিবি, মহিলা পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়ন ইত্যাদি ব্যানারে দেয়া পৃথক পৃথক বিবৃতি একত্র করে এক জায়গায় ছাপিয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থার বিবৃতিও আদায় করে আনা হয়েছে। তাও যথাযথ গুরুত্বের সাথে ছাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্টোদিকে শাহবাগের বিরুদ্ধে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর যে প্রতিবাদ ক্ষোভ সেগুলো প্রকাশ করার জন্য এক ইঞ্চি জায়গাও ওই পত্রিকায় বরাদ্দ নেই। শিশু ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বন্ধের মহান বুলি নিয়ে মাঠে নামলেও সাধারণ মানুষ শাহবাগীদের চিনে ফেলেছে। তাই লাকী আক্তারসহ শাহবাগী জল্লাদদের মাঠে নামা এখন আর সম্ভব নয় বলে মনে হচ্ছে।